বাউফলে খাদ্য গুদামের কর্মচারী অফিস না করেও বেতন নিচ্ছেন

বাউফলে খাদ্য গুদামের কর্মচারী অফিস না করেও বেতন নিচ্ছেন

মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাউফল (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলের বগা খাদ্য গুদামে ৬ বছর পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসাবে চাকরী নিয়েছেন  নুপুর বেগম (৫২)। কিন্তু চাকরীতে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত একদিনের জন্য কর্মস্থলে তার দেখা পানি কেউ। অথচ মাসের বেতন ঠিকই নিচ্ছেন।
সরেজমিন বগা খাদ্যগুদামে গিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নুপুর বেগমের দেখা পাওয়া যায়নি। দেখা পাওয়া গেছে তার স্বামী সহিদুল ইসলামকে (৫৬)। তিনি জানান, স্ত্রীর নামে চাকরী হলেও মূলত কাজ করেন তিনি। তার স্ত্রী মাঝে মধ্যে কর্মস্থলে আসেন। খাদ্য গুদামে চাকরী করেন, এমন কেউ তার স্ত্রীকে দেখেননি।
ওই খাদ্যাগুদামে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসাবে চাকরী করছেন  শাহিনুর বেগম। তিনি জানান, বগা খাদ্য গুদামে তিনি ৫-৬ বছর ধরে চাকরী করছেন। অথচ এখন পর্যন্ত নুপুর বেগমকে চোখে দেখেননি। তিনি বলেন,‘ নুপুর বেগমের পরিবর্তে  তার স্বামী সহিদুল ইসলাম এ গুদামে পরিচ্ছনতা কর্মীর চাকরী করছেন।’
খবর নিয়ে জানা গেছে, নুপুর বেগম খাদ্য গুদামে না এলেও তার মাসের বেতনের  টাকা তার স্বামী সহিদুল ইসলাম স্বাক্ষর করে তুলে নেন।
এ ছাড়াও বগা খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরী থেকে চলতি বছর এপ্রিল মাসে অবসর নিয়েছেন লাল মিয়া নামের (৫৯) এক ব্যক্তি। অথচ তিনি ওই খাদ্য গুদামে বহাল তবিয়তে আছেন। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে গুদামের কোয়াটারে বসবাস করছেন। গুদামের পাহারা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে লাল মিয়া বলেন,‘ স্যারের নির্দেশে (খাদ্য পরিদর্শক) তিনি এখনো এখানে (গুদামে) কাজ করছেন।’
এ ব্যাপারে বগা খাদ্য গুদামের পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপংকর মিস্ত্রী বলেন ,‘পরিচ্ছন্নতা কর্মী নুপুর বেগম তার চাকরী নিজেই করেন। অসুস্থতার কারণে মাঝে মধ্যে না আসলে তার স্বামী এসে করেন।’ অপর দিকে অবসরপ্রাপ্ত নৈশ্য প্রহরী লাল মিয়ার সম্পর্কে তিনি বলেন,‘ লাল মিয়া এলপিয়ারে আছে। তার বৌ-বাচ্চারা এখানে থাকে। সেই সুবাধে মাধে মধ্যে তিনি গুদামের দেখভালোর কাজ করেন।’